চাঁদে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা। আর এজন্য আর্টেমিস ৩ মিশনকে বাছাই করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। প্রথমবারের মতো চাঁদে একটি ক্ষুদ্র গ্রিনহাউজ স্থাপন করবেন নভোচারীরা। সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে ২০২৬ সালেই চাঁদে গ্রিনহাউজটি স্থাপন করা হবে।
সম্ভাব্য আর্টেমিস ৩ মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারীদের পাঠানোর জন্য বাছাই করা বিজ্ঞানভিত্তিক যন্ত্রের প্রথম সেট দেখিয়েছে নাসা, যার লক্ষ্য, চাঁদ সম্পর্কে মানুষের বোঝাপড়ার পরিসর আরও বাড়ানো ও ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে বিভিন্ন ক্রু মিশনের প্রস্তুতি নেওয়া। এ মিশনের লক্ষ্য, প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নভোচারীদের পদার্পণ ঘটানো, যাকে পৃথিবীর বাইরে মানুষের টেকসই উপস্থিতির দিকের একটি পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আর্টেমিস তিন মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারীদের সহায়তায় তিনটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এলইএএফ বা লিফ (লুনার ইফেক্টস অন অ্যাগ্রিকালচার ফ্লোরা)। এ গবেষণার মাধ্যমে চাঁদের মতো স্থানে ফসলের অবস্থা কেমন হতে পারে তা পরীক্ষা করা হবে।
আর্টেমিস ৩ মিশনের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো মানুষ চাঁদে অবতরণ করবে। আর্টেমিস ২ মিশনের মাধ্যমে ২০২৫ সালে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করার জন্য নভোচারী পাঠানো হবে। আর আর্টেমিস ১-এর মাধ্যমে ২০২২ সালে নভোচারী ছাড়াই একটি সফল মিশন সম্পন্ন করা হয়েছিল।