স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দিয়ে হাসপাতালে নিলেন স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার :
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে স্বামীর গোপনাঙ্গ বেøড দিয়ে কেটে দেওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী নিপা আক্তারকে(৩৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কোনাবাড়ী থানার জরুন উত্তরপাড়া আব্দুর রশিদের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে স্বামীকে স্ত্রী নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিপা আক্তার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। স্বামী আবুল হোসেন (৪০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। তারা কোনাবাড়ীতে ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। নিপা আক্তার ভিকটিম আবুল হোসেনের প্রথম স্ত্রী।
বাড়িওয়ালা আব্দুর রশিদ জানান, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে আবুল হোসেনের চিৎকারে সবার ঘুম ভেঙে যায়। পরে তারা সবাই এগিয়ে গেলে তার স্ত্রী নিপা আক্তার বলেন, তার স্বামীর গোপনাঙ্গে পোকায় কামড় দিয়েছে। পরে তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই রাতেই শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের ডিউটিরত চিকিৎসক জানান, আবুল হোসেনের গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে।
রোববার রাতে স্ত্রী নিপা আক্তার বাসায় ফিরে এসে জানান, আবুল হোসেন সুস্থ আছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসায় থাকলেও বিকেলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে আটক করে বিষয়টি কোনাবাড়ী থানায় জানানো হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আবুল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী হাসনা বেগম জানান, তার স্বামী আবুল হোসেন শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ছয় বছর আগে তাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। তিনি আরও জানান, তার স্বামী অসুস্থ থাকায় ঠিকমতো কাজ করতে পারতেন না। তারা দুজনই পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কী কারণে প্রথম স্ত্রী নিপা আক্তার এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বুঝতে পারছেন না। তার স্বামী বর্তমানে উত্তরার শিন শিন জাপান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত নিপা আক্তার স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে, কেন এমনটি করেছেন তা বলেননি তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াইল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত নিপা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *