স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুকুরে গোসল করতে নেমে এক নির্মাণ শ্রমিক ও বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে ডুবে ১৫ মাস বয়সী এক শিশু’র মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টায় উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামের ঠান্ডারচালা এলাকার পুকুরে ডুবে নির্মাণ শ্রমিক ও বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার বাঘমারা কলেজপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে ডুবে শিশু’র মৃত্যু হয়। নিহত মো. মাজহারুল ইসলাম (২৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মো. হাসেন আলীর ছেলে। তিনি একজন রাস্তা নির্মাণ শ্রমিক।
নিহত শ্রমিকের সহকর্মী মামুন বলেন, উপজেলার বাঁশবাড়ী এলাকার একটি গ্রামীণ ইট সলিং রাস্তার নির্মাণ কাজ করতে তারা আসেন। প্রচন্ড গরমে কাজ করায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাজহারুল আমাকে নিয়ে রাস্তার পাশের খননকৃত একটি নতুন পুকুরে গোসলে যায়। মাজহারুল আগে পুকুরে নেমে গোসল শুরু করলে সে পুকুরে ডুবে যায়। সাথে সাথে আমি পানিতে নেমে তাকে খুঁজতে থাকি। পানিতে তাকে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের ঘটনাটি জানাই।
নিহতের বাবা হাসেন আলী বলেন, মুঠোফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে মাজহারুলের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। তার রোজগারের টাকায় চলতো আমাদের সংসার চলতো। তার সালমান নামে ৮মাস বয়সী এক শিশু পুত্র আছে। মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিন্টু মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অপরদিকে একই দিন বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার বাগমারা কলেজপাড়া এলাকায় জমে থাকা ডোবার পানিতে ডুবে তাহমিদ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মো. তাহমিদ (১৫ মাস) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার মো. তরিকুল ইসলামের ছেলে। শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কলেজ পাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে বসবাস করতো। তাঁর পিতা একটি মাদ্রাসার মুহতামিম।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে স্থানীয় আবু রায়হান বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে নিহত তাহমিদ বাড়ির উঠানে বড় বোনের সাথে খেলা করছিল, এসময় তার মা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ তাহমিদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি আশপাশে খোঁজ করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশেই ঘেষা জমির গর্তে জমে থাকা পানির ডোবাতে তাহমিদকে দেখতে পান। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আতাউল বলেন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই শিশুটিকে। শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, বিষয়টি কেউ থানায় জানায়নি। এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।