জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় আয়োজিত ‘আন্তঃকলেজ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা’ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের ডরমিটরি ভবনে এ অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
অনুষ্ঠানে ৩২টি ইভেন্টে সারাদেশের জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ১৩৩৯টি কলেজের ২৪ হাজার ৯৩৮জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৭২টি কলেজের ৪১৩ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করে। মোট ৭৫টি ভেন্যুতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প, শটপুট নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা, ভলিবল, বাস্কেটবল, সাঁতার ফ্রি স্টাইল, সাঁতার ব্রেস্টস্টোক, কাবাডি, হ্যান্ডবল, হকি, ব্যাডমিন্টন একক, ব্যাডমিন্টন দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক, টেবিল টেনিস দ্বৈত, ক্যারম একক, ক্যারম দ্বৈত, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, একক অভিনয়, একক নৃত্য, দেশাত¦বোধক গান, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, লোকগীতি, সৃজনশীল দলীয় নৃত্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ ৩২টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘সুপরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশ আজ উন্নয়নের শিখরে অবস্থান করছে। এর ধারাবাহিকতা বজায়ে রাখলে আমাদের উন্নয়নের যে রূপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো অর্জন করতে সক্ষম হব। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়েছে। আমরা উন্নয়নের সকল সূচকে অনেক এগিয়েছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায়ে থাকলে এবং গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কররতে পারলে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্নত দেশে প্রবেশ করতে পারব।’
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. হারুন-অর-রশিদ রাজনীতির নামে মানুষ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘১৫ আগস্টের পর দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আজকে আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আন্দোলনের নামে যারা পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে তারা দেশ ও জাতির শত্রæ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ। ধন্যবাদ জানান ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল সালাম হাওলাদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন। উল্লেখ্য, ‘আন্তঃকলেজ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৩’ ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ থেকে শুরু হয়। উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পেরিয়ে বিজয়ীরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *