স্টাফ রিপোর্টার :
গাজীপুরে বাজিতে মারবেল খেলাকে কেন্দ্র করে খেলার সাথিকে গলা চেপে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুরের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৫ জুলাই গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন ভোগড়া পেয়ারা বাগান এলাকার রিকশা চালক সাজ্জাদ মিয়ার বড় ছেলে মো. বকুল মিয়া (১৪) এর লাশ উদ্ধার করে বাসন থানা পুলিশ। এর একদিন আগে ২৪ জুলাই সকালে খেলার কথা বলে বকুল বাসা থেকে বের হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত কারণ ও আসামির নামে মেট্রোপলিটন বাসন থানায় ২৫(৭)২০২৩ মামলা রজু হয়। পিবিআই গাজীপুর গত ২৮ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি রাসেল আহাম্মেদ সোয়াদ কে (২১) গ্রেফতার করা হয়। রাসেল আহম্মেদ সোয়াদ বাসান থানাধীন টেকনগপাড়া এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান আরও বলেন, মামলার বাদী রিকশা চালক সাজ্জাদ মিয়া বাসন থানাধীন ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার আবুল কালামের বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করতেন। বাদীর স্ত্রী ভোগড়া ভ্যালমন্ড ফ্যাশনে সুইং অপারেটর হিসাবে চাকরি করেন। গত ২৪ জুলাই তারা কাজে চলে যায়। বিকালে বাসায় ফিরে তাদের ছোট ছেলে বাদল (৭) কে বাসায় পেলেও বড় ছেলে বকুল মিয়াকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে ওই এলাকার বালুর মাঠ সংলগ্ন জনৈক মো. সিদ্দিক এর পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরের ভেতর থেকে বকুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলেই কিশোর। গ্রেফতারকৃত রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গত ২৪ জুলাই কাচাঁবাজারের আড়তে কাজ শেষে সে বাসায় ফেরেন। দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর বন্ধু অটো চালক নাজমুলের সাথে দেখা করে আড্ডা দেয়ার জন্য পেয়ারা বাগান বালু মাঠে যায়। দুপুর দেড়টার দিকে বালু মাঠের কোনায় চা-স্টলে চা খাওয়ার সময় তাঁর পরিচিত এলাকার ছোট ভাই বকুল ও নাঈম নামে দু’জন বালুর মাঠে বাজিতে মার্বেল খেলছিলো। খেলা নিয়ে নাঈম আর বকুল ঝগড়া ও মারামারি শুরু করে। এক পর্যায়ে বকুল নাঈমকে চড় থাপ্পর ও জোরে ধাক্কা মারে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় এলাকার এক বড় ভাই উভয়কে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় নাঈম তাঁর এক বন্ধুসহ বকুলকে খুঁজে বালুর মাঠে পায়। পরে নাঈম তাঁর ওই বন্ধুসহ নাজমুলের অটোতে তুলে এবং তার অপর বন্ধু সোয়াদকে মাঠেই থাকতে বলে। সন্ধ্যা পৌনে ৫টায় নাজমুল ও নাঈম বকুলকে অটোতে তুলে নাওজোর মোড়ের দিকে চলে যায়। অনুমান রাত্র ৯টায় সকলে মিলে বালুর মাঠের দক্ষিণ কর্ণারের টিনের ঘরের ভেতরে তাকে নিয়ে যায়। ওখানে নাঈম, নাজমুদ ও সোয়াদসহ সকলে মিলে লাথি, কিল ঘুষি ও বকুলের হাত, পা, মুখ ও গলা চেপে ধরে ৪/৫ মিনেটের মধ্যে হত্যা নিশ্চিত করে যার যার বাসায় চলে যায়।
2024-01-11